আলমগীর কবীর:
জিএমপি‘র সদর থানাধীন গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন্স অবস্থিত ।শুক্রবার ২৯ অক্টোবর ২০২১ইং পুলিশ লাইন্স মাঠে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পুর্ব ঘোষিত ।পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে চাকুরী প্রত্যাশী ফাহিম চৌধুরী (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে ।শুক্রবার সকাল১১.০০টার দিকে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরী প্রত্যাশী ঐ যুবকের আকস্মিক মৃত্যু ধুম্রজালের সৃষ্টি করেছে ।মৃত্যুর খবর পুলিশ লাইন্স মাঠ প্রঙ্গনে তাৎক্ষনিক ছড়িয়ে পড়লে সকল চাকুরী প্রত্যাশীদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয় ।খবর পেয়ে ফাহিম চৌধুরীর আত্মীয় স্বজন নিয়োগ পরীক্ষাস্থলে গেলে দায়িত্বরতরা জানান,ফাহিম অসুস্থ তাকে শহীদ তাজ উদ্দীন মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।ফাহিমের আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন,সে জীবিত নেই ।
গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আর তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্বজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তবে পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি বলছে।
এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আল আমিন জানান ২০ বছর বয়সী নিহত ফাহিম চৌধুরী গাজীপুর মহানগরীর উত্তর খাইলকুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। শুক্রবার সকালে ফাহিম চৌধুরী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে জেলা পুলিশ লাইন্সে যান।পরীক্ষা চলাকালে ফাহিম পুলিশ লাইন্সের ভেতরে থাকা একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ারের সাথে হেলান দেন। হেলান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
নিহত ফাহিমের ঘনিষ্ট বন্ধু মো.বিল্লাল হোসেন প্রতক্ষ্যদর্শী জানান,আমিও পুলিশ লাইনে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম।প্রচণ্ড রোদের কারণে ফাহিমসহ তারা কয়েকজন একটি টাওয়ারের নিচে যায়।একপর্যায়ে ফাহিম টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বাইরে লোহার এসির খাঁচায় স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে নীরব হয়ে যায়।আমরা বুঝতে পারি সে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়েছে ।এমন পরিস্থিতিতে পাশে পড়ে থাকা শুকনো বাঁশের আঘাতে ফাহিমকে বিদ্যুৎ মুক্ত করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
মো.আমিনুল ইসলাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, টাওয়ার থেকে বিদ্যুতায়িত হওয়ার খবর পাওয়ার পর গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হয়।পল্লী বিদ্যুৎ এর একটি টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে সমস্ত সংযোগ লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন । তারা ওই টাওয়ারে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগের প্রমাণ পায়নি বলেও জানান তিনি।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো. এনায়েত হোসেন জানান,জেলা পুলিশ লাইনে গিয়ে ট্রান্সমিশন টাওয়ারটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটি বিদ্যুতায়িত হয়নি।স্পর্শ করলে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটারও কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক মো.রোমান আল মামুন জানান,দুপুরে ময়নাতদন্ত করে নিহতের হৃদপিণ্ডের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে।নমুনার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারবেন ।
নিহত ফাহিম চৌধুরীর আত্মীয় স্বজনের দাবি,প্রতক্ষ্যদর্শী ফাহিমের বন্ধুর তথ্যমতে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে সে ।নইলে শুকনো বাঁশ দিয়ে তাকে ছাড়ানো হলো কেন ? আমরা নিজেরাও বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় এ রকম অনেক লাশ দেখেছি ।ফাহিমের মৃত্যুটা স্বাভাবিক মনে হয়নি । বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হলে ঐ ব্যক্তির শরীরে যে রকম দেখায়,ফাহিমের ক্ষেত্রে ঠিক একই রকম লক্ষ করেছি ।ফাহিমের বাবা,মার একমাত্র সন্তান ছিল সে ।তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকা জুড়েই চলচ্ছে শোকের মাতম,পাশাপাশি নানাবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি করছে ্।নিহত ফাহিম চৌাধুরীর আত্মীয় স্বজনের দাবি,প্রতক্ষ্যদর্শী ফাহিমের বন্ধুর তথ্যমতে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে সে ।নইলে শুকনো বাঁশ দিয়ে তাকে ছাড়ানো হলো কেন ? আমরা নিজেরাও বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় এ রকম অনেক লাশ দেখেছি ।ফাহিমের মৃত্যুটা স্বাভাবিক মনে হয়নি । বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হলে ঐ ব্যক্তির শরীরে যে রকম দেখায়,ফাহিমের ক্ষেত্রে ঠিক একই রকম লক্ষ করেছি ।ফাহিমের বাবা,মার একমাত্র সন্তান ছিল সে ।তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকা জুড়েই চলচ্ছে শোকের মাতম,পাশাপাশি নানাবিধ প্রশ্নের সৃষ্টি করছে ।